শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৮:২৫
ইরান নিপীড়িত জাতির ভরসা, প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্তির উৎস: ইসলামাবাদ সম্মেলনে বক্তারা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা শহীদদের স্মরণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনে ইরানের সর্বাত্মক সমর্থন মুসলিম উম্মাহর জন্য শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস। তারা জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী ঐক্য বজায় থাকলে জায়নিস্ট শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলন ইরানের প্রতিরক্ষা সপ্তাহের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে এটি ফিলিস্তিন ও লেবাননের শহীদদের স্মরণ এবং হিজবুল্লাহর শহীদ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রদূত রেজা আমিরি মোকাদ্দামের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত আমিরি মোকাদ্দাম বলেন, ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকেই আমেরিকা ও তার মিত্ররা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কিন্তু ইরান কখনো ফিলিস্তিন প্রশ্নে আপস করেনি এবং জালেম জায়নিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তিনি শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে স্মরণ করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ২০০০ সালের বিজয় ও ৩৩ দিনের যুদ্ধে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছিল, যার ধারাবাহিকতা “তোফানুল আকসা” অভিযানে প্রকাশ পায়।

পাকিস্তানি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা একবাক্যে বলেন, ইরান নিপীড়িত জাতিগুলোর জন্য সাহসের প্রতীক এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্তির উৎস। তারা শহীদ নাসরুল্লাহ, শহীদ সোলাইমানি, এবং ফিলিস্তিনি নেতাদের ত্যাগকে ইসলামের প্রতি সর্বোচ্চ নিবেদন হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যকে সময়ের প্রধান চাহিদা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকা ও ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবেলায় ঐক্যই হলো প্রকৃত অস্ত্র।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে “মাকতাবে নাসরুল্লাহ” শীর্ষক একটি বইয়ের উর্দু অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এতে আন্তর্জাতিক বিশিষ্টজনদের শহীদ নাসরুল্লাহ সম্পর্কে মতামত ও বক্তব্য সংকলিত হয়েছে, যা গত বছর ইরানে তাঁর শাহাদাতের চল্লিশা উপলক্ষে উপস্থাপিত হয়েছিল।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha